বেহালাবাসীদের জন্য সুখবর। খুব শীঘ্রই তারাতলা থেকে মেট্রো রুট মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে চলেছে। দীর্ঘ কয়েকবছরের দাবি মেনে চলতি বছরেই খুলে যেতে পারে জোকা-তারাতলার এই সম্প্রসারিত অংশ। উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর এই মেট্রো স্টেশন ঘিরে চরম অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছিল। তারপর রেল ও রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার নয়া ব্রিজ চালু হয়ে গিয়েছে। মেট্রোর কাজে গতি এসেছে। বর্তমানে মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশনের নির্মাণ কাজ কার্যত শেষ। প্ল্যাটফর্মের ছাদে পিভিসি শিট লাগানোর কাজ চলছে। এছাড়া এসক্যালেটর বসানোর কাজ চলছে। এছাড়াও বয়স্ক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বসছে দ্রুতগামী লিফ্ট। এছাড়াও স্টেশনকে যাত্রীদের কাছে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে চেষ্টার কসুর করছেন না মেট্রো কর্তারা। মাঝেরহাট স্টেশনের দেওয়ালে শোভা পাবে রকমারি ম্যুরাল, ছবি। সেই কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। স্টেশনের মেঝে সেজে উঠেছে উন্নতমানের গ্রানাইটে। এই পাথর বসানোর কাজ চলছে শেষ পর্যায়ে।
প্রসঙ্গত, জোকা-তারাতলা রুটটি বর্তমানে পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে ভুগছে। ওয়ান মেট্রো সার্ভিস দিয়ে মোটের উপর কোনও রকমে চলছে এই রুটটি। যেখানে একটি মেট্রো মিস হলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কেন না, একটি রেকই জোকা থেকে ছেড়ে তারাতলা পৌঁছে ফের উল্টোদিকে যাত্রা করছে। মেট্রো কর্তাদের বক্তব্য, ওই যাত্রাপথে মেট্রোর উপর স্থানীয়া ভরসা করছে না। অটো কিংবা বাসের উপরই যাত্রীরা বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশন চালু হয়ে গেলে, যাত্রী সংখ্যা একলাফে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে আশাবাদী রেল কর্তারা। কেন না, শিয়ালদহ ডিভিশনের বহু ট্রেন যাত্রী মাঝেরহাটে নেমে এই মেট্রো পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন। উদাহরণ দিয়ে এক মেট্রো কর্তা বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত রুটটি যাত্রী শূন্যতায় ভুগত। কিন্তু শিয়ালদহ মেট্রো চালু হওয়ার পর যাত্রী সংখ্যা এক লাফে প্রায় ৪০০ গুণ বেড়ে যায়। মাঝেরহাটের ক্ষেত্রে ওতটা না হলেও, যাত্রী সংখ্যা যে বেশকিছু বাড়বে, এবিষয়ে নিশ্চিত ওই কর্তা। মেট্রো সূত্রের দাবি, চলতি বছরেই এই মাঝেরহাট স্টেশন খুলে যাবে। তার জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। পাশাপাশি মাঝেরহাটের পরবর্তী এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত প্রস্তাবিত রুটে বহু বাধা ইতিমধ্যেই দূর হয়েছে। সেই কাজেও বাড়তি গতি আমদানি করেছে মেট্রো।