দেশ

বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র যোগ্য নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মত এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের

ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ৷ এমনটাই মনে করেন ন্য়াশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান তথা দেশের বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ার ৷ শনিবার কোলহাপুরে এক সাক্ষাৎকারে এনসিপি প্রধান জানান, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো একজন যোগ্য নেত্রী ৷ বিরোধীদের ইন্ডিয়ো জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার তাঁর ইচ্ছা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত ৷ দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অসন্তোষের ফলে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের ৷ সদ্য সমাপ্ত হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পর সেই দূরত্ব আরও বাড়তে শুরু করেছে ৷ এই প্রসঙ্গে জোটের অন্যতম সদস্য তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীত্ব এবং জোটের নেতৃত্ব উভয়ই সামলাতে পারবেন ৷ তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয় ৷ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে প্রবীণ এনসিপি প্রধান বলেন, “দেশের একজন যোগ্য নেত্রী তিনি ৷ সুতরাং, তাঁর এই ধরণের মন্তব্য করা শোভা পায় ৷ সংসদে তাঁর পাঠানো মন্ত্রীরা কঠোর পরিশ্রমী ও যোগ্য ৷” সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোট ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই জোটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় । বিশেষ করে সংসদের অধিবেশনের সময় ইন্ডিয়া জোটকে এড়িয়ে আম আদমি পার্টি বা সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সমন্বয় রক্ষা করার বিষয়টি দেখে সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়ে ওঠে ৷ এমনকী, জোট নেতৃত্বের আচরণ নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী সন্তুষ্ট নন, সম্প্রতি তাঁর বক্তব্যে সে কথাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ তিনি বলেন, “আমি তো ইন্ডিয়া জোট তৈরি করে দিয়েছিলাম । জোট রাখতে পারছে না, তো আমি কী করব ? আমি এই ফ্রন্টকে নেতৃত্ব দিই না । যাঁরা নেতা, তাঁদের এটা দেখা উচিত। তবে আমার সঙ্গে সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। আমি সেই সম্পর্ক বজায় রেখেছি ।”