বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশই অশান্ত হয়ে উঠছে। হিন্দু ছাড়াও সংখ্যালঘু খ্রিস্টান, বৌদ্ধদের ওপর নির্যাতনে ঘটনা বাড়ছে পদ্মাপাড়ে। সরব হয়েছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউনুস সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, সেই নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। ইউনুস সরকারের এই কর্মকাণ্ড যে তিনি যে ভালো চোখে দেখছেন না, সেকথা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন হাসিনা। এই উত্তপ্ত বাতাবরণের মধ্যে বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে একাধিক বার্তা দিয়েছে ভারত। চাপের মুখে আজ, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন মুহাম্মদ ইউনুস। এমনকি ঐক্যের বার্তা দিয়ে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মুখ দিয়ে ছবি তুলে ধরারও চেষ্টা করেন তিনি। এদিন বিকালে রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই বৈঠক হয়। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে বাংলাদেশের হিন্দু সহ সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের এই অবস্থায় সরব বিভিন্ন মহল। এদিন বৈঠক থেকে দৃঢ় কন্ঠে ইউনুস বলেন, শত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নয়। ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। দেশ গড়তে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,সবাই সতর্ক থাকতে হবে। এখন আবার নতুন কথা হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। অনেক কিছু প্রচার হচ্ছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি তথ্যের সঙ্গে বিশাল ফারাক আছে। এই ধরনের প্রচার হওয়া ঠিক না। এটার অবসান হওয়া প্রয়োজন। ইউনুস বলেন, এত বড় দেশে অনেক ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু আমি প্রকৃত তথ্যটা কি সেটা জানতে চাই। সেই খবর পেলে সমাধান করা যাবে। যে দোষী হবে তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।