বিরাট কোহলিরা ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিলেন আগেই। রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেই টিকিট অর্জন করল প্রীতি জিন্টার ফ্র্যাঞ্চাইজি। জয়ের নায়ক ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ার। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ২০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৬ বল বাকি থাকতেই কার্যসিদ্ধি করল পঞ্জাব (২০৭-৫)। প্রবল চাপের বোঝা কাঁধে নিয়ে শ্রেয়স উপহার দিলেন অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস। ৪১ বলে ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়লেন বিজয়ীর হাসি ছড়িয়ে। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে প্রভসিমরনের (৬) উইকেট হারিয়ে চাফে পড়ে গিয়েছিল পঞ্জাব। আর এক ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যও (২০) বেশিক্ষণ টেকেননি। তবে পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের গতি বদলে দেন জশ ইংলিশ (৩৮)। এরপর হাল ধরেন শ্রেয়স ও নেহাল ওয়াধেরা। চতুর্থ উইকেটে ৮৪ রান করে মুম্বই বোলারদের চাপে ফেলে দেন তাঁরা। বুমরাহ, বোল্ট কাউকেই রেয়াত করেননি। নেহাল ৪৮ রানে আউট হওয়ার পর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শ্রেয়স। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হওয়া সত্ত্বেও দুশোর গণ্ডি টপকে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের স্কোর। মাত্র ৮ রানে স্টোইনিসের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। জীবন ফিরে পাওয়ার সুযোগ তিনি কাজে লাগাতে ব্যর্থ। তিন নম্বরে তিলক ভার্মা অবশ্য ভরসা জোগালেন দলকে। ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে গড়লেন ৫১ রানের জুটি। শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ব্যাট করলেন তিলক। বেয়ারস্টো ৩৮ রানের মাথায় ফিরে যাওয়ার পর সূর্যকুমারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেলেন ইনিংস। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ৭২ রান যোগ করে মুম্বই শিবিরে স্বস্তি ফেরান তিলক-সূর্য। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৪৪ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন সূর্যকুমার। পরের ওভারেই আউট তিলক। তাঁর সংগ্রহও ৪৪। ডেথ ওভারে নমন ধির (৩৭) ও হার্দিক পান্ডিয়া (১৫) চালিয়ে খেলে দলের স্কোর দুশোর ওপারে নিয়ে যান। ২০ ওভারে মুম্বইয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৩। পাঞ্জাবের সফলতম বোলার ওমরজাই ৪৩ রানে দু’টি উইকেট নেন।
দুই দলের লড়াইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চর্চায় উঠে এল বৃষ্টি। প্রাকৃতিক পূর্বাভাসকে অজুহাত করে ইডেন থেকে জয় শাহর ঘরের মাঠ মোতেরায় দ্বিতীয় প্লে-অফ ও ফাইনাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ন্যায্যতা নিয়ে জোরাল হল বিতর্ক। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বল গড়ানোর মুখে হঠাৎই নামে বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শুরু হয় রাত ৯-৪৫ মিনিটে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর। তবুও মুম্বই-পাঞ্জাব মহারণে কোনও ওভার কমেনি। আসলে কর্তার ইচ্ছাই কর্ম। জয় শাহ যা চাইবেন, সেটাই হবে। নিয়মের তিনি ধার ধারেন না। ভারতীয় ক্রিকেটে তিনিই শেষ কথা। আর তাতেই মুখ পুড়ল বোর্ডের। যে সময় মোতেরা ভিজল, তখন ইডেনের আকাশ ঝলমলে, মাঠ খটখটে। অর্থাৎ ম্যাচ সরানোর ক্ষেত্রে ‘বৃষ্টির পূর্বাভাস’ ছিল স্রেফ ছেঁদো যুক্তি।
