দেশ

পাশে দাঁড়ানোর জন্য মমতা-কেজরিদের ধন্যবাদ রাহুলের, বললেন আমাকে ভয় দেখিয়ে, জেলে পুরে আটকানো যাবে না

সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ সমস্ত বিরোধী দলকে ধন্যবাদ জানালেন রাহুল গান্ধি। রাহুল গান্ধির সাজা ঘোষণার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁকে সাংসদপদ থেকে খারিজ করেছেন। এই ঘটনাকে বিরোধীরা ‘দেশের গণতন্ত্রে কালো দিন’ বলে অভিহিত করেছে। রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ‘বিজেপির স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারও সরব হয়েছেন। শনিবার দিল্লিতে ২৪, আকবর রোডে জাতীয় কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধিকে বিরোধী দলগুলির বিষয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।  প্রশ্নোত্তর পর্বে রাহুলকে ওই সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, ‘এমন বহু দল যারা কংগ্রেসের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলত, আপনার সাংসদপদ খারিজ হওয়ার পর তারাও আপনার পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনার কি মনে হয় এখন সমস্ত বিরোধী দলের একজোট হয়ে যাওয়া উচিৎ?’ জবাবে রাহুল গান্ধি বলেন, ‘আমি সব বিরোধী দলকে ধন্যবাদ জানাই, তাঁরা এই ঘটনায় আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করব।’ দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আদানি ইস্যুতে মোদি সরকারকে ফের নিশানা করেন রাহুল। তিনি বলেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমার মুখও বন্ধ করা যাবে না। আমি প্রশ্ন করেই যাব। এদিন মোদি সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল আরও বলেন, আমি এসবে ভয় পাই না। সংসদে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। মুখ বন্ধ করতেই আমার সাংসদ পহ খারিজ করা হয়েছে। আমি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করছি। এদিন মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক অনেক দিনের বলে দাবিও করেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, আমি জানি না উনি (Adani Groups) কোথা থেকে এসে জুটলেন। আদানিদের একটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থা কোন পথে রাতারাতি ২০ হাজার কোটি টাকা পেল সে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তিনি বলেন, আদানি সংস্থার ২০ হাজার কোটি টাকা কার? গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কী সম্পর্ক, জানতে চেয়েছিলাম। তাই আমার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যান যে মোদীর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎপ্রকল্পের বরাত আদানিকে দেওয়ার জন্য কলম্বোর উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছিলেন, মনে করিয়ে দিয়েছেন সে কথাও। তাঁর অভিযোগ, লোকসভার স্পিকারকে আমি দুবার চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির আজ পর্যন্ত কোনও জবাব পাইনি। লোকসভার স্পিকার বলছেন, আসুন চা খান, কিছু করতে পারব না।  মোদি-আদানি সহ বিদেশে গিয়ে দেশকে অপমান করেছেন বলে বিজেপি শিবিরের তরফে যে অভিযোগ আনা হয়, তা নস্যাৎ করে রাহুলের স্পষ্ট মন্তব্য, আমি দেশবিরোধী কোনও মন্তব্য করিনি। আমি কোনও বিদেশি শক্তির সাহায্য চাইনি। আমি সাভারকার নই, আমি গান্ধী, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।