জেলা

বর্ধমান স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনা আহত ৭

 প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেন ধরার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হল বর্ধমান স্টেশনে ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন 7 জন ৷ তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷ এদিকে, ঘটনায় রেলকেই দায়ী করছেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস ৷ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় ৷ বর্ধমান স্টেশনে মোট ৮টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ৷ এদিন সন্ধায় ৪ নম্বর, ৬ নম্বর এবং 7 নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনটি ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল বর্ধমান হাওড়া যাওয়ার লোকাল ট্রেন , 6 নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল রামপুরহাট লোকাল ও ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল আসানসোল লোকাল । ট্রেনগুলি ধরার জন্য যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে যান । সেই সময় ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়ে পদপিষ্টের মতো ঘটনা ঘটে । ঘটনায় ৭ জন আহত হন । খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্টেশন চত্বরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ৷ ঘটনাস্থলে রেলের তরফে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত 7 জনের এক্স রে থেকে শুরু করে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে । এঁদের মধ্যে একজনের পা ভেঙে গিয়েছে । বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল । ঘটনায় রেলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরাও ৷ অব্যবস্থপনার জন্যই এদিনের এই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ তাঁদের ৷

এদিকে, এদিনের ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিরুদ্ধে সরব হন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস ৷ তিনি বলেন, “রেলের পরিকাঠামো ঠিক নেই । সিঁড়িগুলি চওড়া নয় । ফলে, ভিড় বাড়লে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় । অথচ সেদিকে রেল কর্তৃপক্ষের কোনও নজর নেই ৷ সেকারণে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে । এই ঘটনায় 7 জন আহত হয়েছেন ৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে ।” তিনি আরও বলেন, “এর আগে প্ল্যাটফর্মে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে যাত্রীদের মৃত্যু হয়েছিল । কিন্তু তারপরও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পরিষেবা দিচ্ছে না । ট্রেনে যাতায়াতের সময় সাধারণ মানুষ আর সুরক্ষিত নন ৷ আজ বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত । রেল কর্তৃপক্ষকে জানাব বিষয়টি ।” রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম বিশাল কাপুর বলেন, “4 ও 5 নং প্ল্যাটফর্মে একজন পড়ে যান ৷ এই অবস্থায় ভিড়ের কারণে কয়েকজন হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পড়ে যান । সিঁড়ির মধ্যে এই ঘটনা ঘটায় কয়েকজন আহত হন । রেলের তরফে তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । খবর পেয়ে আমিও বর্ধমানে চলে আসি । হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করি । সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে ।” তিনি আরও বলেন, “আহতরা চাইলে হাওড়া রেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবেন । শুধু তাই নয়, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য কোনও হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারবেন । রেল তাঁদের সাহায্য করবে । আজকে এমন ঘটনা কেন ঘটলো, সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো । পাশাপাশি, কোনও গাফিলতি আছে কি না, সেই সমস্ত বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে । আমাদের এখন প্রথম লক্ষ্য হল আহতদের সুস্থ করে তোলা ।”