জেলা

২০১১ সালের পর থেকেই টাটা গোষ্ঠী বাংলায় তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বহুগুণ

ভারতের শিল্পের সঙ্গে টাটা গোষ্ঠীর নামটা ওতঃপ্রোত ভাবে জড়িত। গত ২০১১ সালে কলকাতায় টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস অর্থাৎ টিসিএসের কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার। আর ২০২১ সালে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করেছে টাটা গোষ্ঠী। এছাড়াও নিউটাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালিতে টাটা গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই আরও ২০ একর জমি নিয়েছে। টিসিএস গীতাঞ্জলি পার্ক ক্যাম্পাসের পাশে একটি নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করছে টাটা। তার নাম হবে টিসিএস সঞ্চয়িতা পার্ক, যেখানে ১২.৫ হাজার কর্মী সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। টাটা স্পঞ্জ আয়রন লিমিটেড, ওড়িশার কেওনঝড় থেকে তাদের হেড অফিস সরিয়ে কলকাতায় নিয়ে এসেছে। টাটা হিতাচি জামশেদপুরের কারখানা বন্ধ করে, পুরোটাই খড়গপুরে নিয়ে এসেছে। টাটা মেটালিকস খড়গপুরে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের দ্বিতীয় কারখানা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই সেই কারখানার উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। ওই কারখানায় ৩ হাজার ৫০০কোটির বেশি মানুষ কাজ পাবেন। বিগত কয়েক বছরে I এইচসিএল অর্থাৎ টাটা গ্রুপের হসপিটালিটি চেন বাংলায় নিজেদের হোটেলের সংখ্যা ১ থেকে বাড়িয়ে ৮ করেছে। ১) তাজ বেঙ্গল (২০১১ সালের আগে ছিল), এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০১১ সালের পর থেকে টাটা গোষ্ঠী বাংলায় কী কী বিনিয়োগ বাড়িয়েছে –

২০১১-এর পরবর্তী সময়ে :

২) তাজ তাল কুটির কনভেনশন সেন্টার, ইকো পার্ক
৩) তাজ সিটি সেন্টার, নিউটাউন
৪) রাজকুটির
৫) ভিভান্টা, বাইপাস
৬) ২৫ ফার্ম হাউজ, বৈদিক ভিলেজ
৭) তাজ চায় কুটির, দার্জিলিং
৮) মাকাইবাড়ি তাজ হোটেল, দার্জিলিং

টাটা মেডিকেল সেন্টার রাজারহাটে ২০০ কোটি টাকা খরচ করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করেছে। টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে SSKM ও নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজে দুটো ক্যান্সার ইউনিট তৈরি করেছে।