জেলা

কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থীকে ফোন করে ভোটারদের ঘুষ মোদির! বিধিভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ তৃণমূল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করল তৃণমূল৷ তিনি ছাড়াও কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় ও তাঁদের দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ চিঠিতে তারা লিখেছে, ভোটারদের জন্য নয়া অর্থকরী সাহায্যের প্রকল্প ঘোষণা করে ঘুষ দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি অনুচিতভাবে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ৷ চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস মোদি ও অমৃতা রায়ের টেলিফোনের কথোপকথনকে প্রচারের স্টান্ট হিসেবে দাবি করেছে ৷ তারা লিখেছে যে, “টেলিফোনের এই কথোপকথন প্রচারের একটা স্টান্ট, যেটা সংবাদমাধ্যমগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বিজেপি সেই কথোপকথের লিংক তাদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে ৷ এই কথোপকথন আদর্শ আচরণবিধি ও অন্যান্য আইনগুলিকে ভঙ্গ করেছে ৷”দুর্নীতির তদন্তে ইডির বাজেয়াপ্ত করা ৩০০০ কোটি টাকা প্রতারিতদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন, সেই উক্তি তুলে ধরে তৃণমূল লিখেছে, “ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা সরকার বিলি করতে পারে না ৷ উদ্ধারকৃত অর্থ বা সম্পত্তি সংরক্ষণ করার নির্দিষ্ট আইন রয়েছে ৷ অর্থাৎ এই টাকা বিলি করার জন্য তিনি নয়া প্রকল্প বা আইনের ধারা আনার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন ৷ অর্থাৎ তাঁর এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে ৷ এছাড়াও ইডি ৩০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, সেই সংখ্যাটাও যাচাই করা সংখ্যা নয় ৷” তৃণমূলের কথায়, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ভোটারদের অর্থকরী সুবিধে করে দেওয়ার কথা বলেছেন, সেটিও একটি দুর্নীতি এবং ঘুষেরই একটা প্রকার ৷ অনুচিত ভাবে প্রভাব বিস্তার করার জন্য এ কথা বলেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি অমৃতা রাও মোদিকে টেলিফোনে যে কথা বলেছেন, তা পরিষ্কারভাবে ধর্মের নামে ভোট টানার চেষ্টা বলেও নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল ৷ এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমৃতা রায় এবং বিজেপিকে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ও ধর্মের ভিত্তিতে মন্তব্য করতে নিষেধ করার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৷ প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির অন্যান্য সদস্যরা যাতে ভোটের আগে অর্থকরী সংক্রান্ত কোনও প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি না দেন, তাও নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৷