বীরভূমের রাজনীতিতে গুরুত্ব কমল অনুব্রত মণ্ডলের! জেলা সভাপতি নন, দায়িত্বে শুধুমাত্র কোর কমিটি। বস্তুত, বীরভূমের ধাঁচেই এবার কোর কমিটি উত্তর কলকাতাতেও। জেলা সভাপতি পদটি বিলুপ্ত করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় করা হল চেয়ারপার্সন। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তৃণমূলে কি রদবদল আসন্ন? জল্পনা চলছিলই। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পারফরম্য়ান্সের ভিত্তিতে জেলা সভাপতি পদে রদবদলের তালিকাও পাঠিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে যাঁরা নিজেদের বিধানসভা এলাকায় রদবদল চান, সেইসব বিধায়কদের ৩ জনের নাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সময়সীমা ছিল ১৫ দিন। অবশেষে সেই রদবদল ঘটে গেল। নয়া জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ করে দিল তৃণমূল।
ভোটের মুখে বীরভূমে বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক ৫ সদস্যের নয়া কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটি প্রভাব বেশি অনুব্রত ঘনিষ্ঠদেরই। বস্তুত, কোর কমিটিতে বাদ পড়েছিলেন অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ। পরে অবশ্য তাঁকে কমিটিতে নেওয়া হয়। গত বছর পুজোর আগেই জামিন পান অনুব্রত। কিন্তু কেষ্ট গড়ে ফেরার পরেও বীরভূমের দলের কোর কমিটির উপরেই আস্থা রেখেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রতই। সাংগঠনিক রদবদলের পর আর জেলা সভাপতি থাকলেন না তিনি। কোর কমিটিতে সদস্য করা হল তাঁকে। জেলার দায়িত্বে থাকবে শুধুমাত্র এই কোর কমিটিই।



