সাংসদ ও বিধায়ককে আক্রমণের ঘটনায় পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বুধবার তিনি পালটা মারের হুমকি দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে তিনি ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন৷ তাঁর মতে, ত্রিপুরার ঘটনা অনভিপ্রেত৷ বিজেপি অন্য দলের অফিস ভাঙচুরের কাজ করে না বলেও তিনি দাবি করেছেন৷ গত সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ৷ তাঁরা এখন মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বুধবার সেখানে যান বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার৷ দেখা করেন দুই সতীর্থর সঙ্গে৷ তার পর বাইরে এসে এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন। যারা আক্রমণ করেছে, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, ‘আমরা দিদির সৈনিক। এখানে বিজেপি কেন এসেছে?’ এটা কি বাবার সম্পত্তি পেয়েছে! পাকিস্তান পেয়েছে নাকি ওখানে বিজেপি যেতে পারবে না! পুলিশ যদি ব্যবস্থা না-নেয়, তাহলে বিজেপি বুঝে নেবে।’’ মঙ্গলবার খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি বলেন, ‘‘তিনি (মমতা) উত্তরবঙ্গে থাকাকালীন একজন সাংসদ এভাবে আক্রান্ত হলেন৷ একজনও গ্রেফতার হল না কেন? এমন পুলিশমন্ত্রীকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হবে। আদিবাসী সমাজের রক্ত ঝরানোর অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ দেয়নি। এসব হচ্ছে বাংলার মধ্যে পকেটে পকেটে পাকিস্তান বানানোর মানসিকতা। আমি কার্যকর্তাদের বলেছি, যারা মেরেছে বড় বড় করে পোস্টার লাগাতে। আর তাদের দেখতে পেলেই বিজেপির পার্টি অফিসে খবর দিতে। বাকিটা বিজেপি বুঝে নেবে।’’ সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘এটা যদি তৃণমূলের সাংসদ হতো, তাহলে কী হতো? ত্রাহি ত্রাহি রব উঠে যেত। সংবিধান বিপর্যস্ত হতে যেত। আর যদি মুখ্যমন্ত্রী ভাবেন, আমরা মার খেয়ে ভয়ে ঢুকে যাব, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। হয় আপনার পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, না-হয় এবার মারের পালটা মার হবে। অন্তত উত্তরবঙ্গে বিজেপি সেই ক্ষমতা রাখে।”


