বিবিধ

৪৮ হাজার ৫০০ বছর ধরে হিমায়িত থাকা ‘জম্বি ভাইরাস’ জীবিত, রিপোর্ট ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক যেতে না যেতেই নতুন করে এক মহামারি আশঙ্কা ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। ৪৮ হাজার ৫০০ বছর ধরে রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে সমায়িত রয়েছে সাংঘাতিক ‘জম্বি ভাইরাস’। যা পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ইউরোপীয় গবেষকরা। এই ভাইরাস বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মতই দাপিয়ে বেরাবে বলেই আশঙ্কা তাঁদের। ইউরোপীয় গবেষকরা রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের পরমাফ্রেস্টের কিছু নমুনা সংগ্রহ করে এই

ভয়াবহ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। নমুনা সংগ্রহ করে ১৩ টি প্যাথোজেন নতুন করে জীবিত হয়েছে বলে জানান তাঁরা। সুদীর্ঘ বছর হিমায়িত থাকা সত্ত্বেও এই ভাইরাসের সংক্রমক ক্ষমতা নষ্ট হয়নি। বিজ্ঞানীরা এই ভয়ানক ভাইরাসকে ‘জম্বি ভাইরাস’ বলে চিহ্নিত করছেন। জানা গেছে, রাশিয়ার সাইবেরিয়া বরফ জমে যাওয়া একটি হ্রদে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই ভাইরাস প্রাণিদেহ, মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানাচ্ছেন

গবেষকরা। রাশিয়ার সার্বিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করছিলেন ইউরোপীয় গবেষকরা। যার মধ্যে ম্য়ামথের জীবাশ্ম থেকে পাওয়া ভাইরাসও ছিল।  তখনই তাঁরা দেখেন যে বেঁচে উঠেছে পৃথিবীর প্রাচীনতম ভয়ংকর ভাইরাস যার ১৩টি প্যাথোজেনকে তাঁরা শনাক্ত করতে পেরেছেন।  এই ভাইরাস বিশ্বে করোনা ভাইরাসের মতই দাপিয়ে বেরাবে বলেই আশঙ্কা তাঁদের।  বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তকের ফলে সারবেরিয়ার

পরমাফ্রেস্ট গলতে শুরু করা প্রাণীকুলের জন্যে হুমকি হতে পারে। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ বাড়তে থাকার কারনে এই পরমাফ্রেস্ট গলতে শুরু করেছে। যার থেকে জম্বি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে বায়ুমণ্ডলে। গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাস বাইরের সংস্পর্শে আসার পর কতক্ষণ জীবিত থাকবে? কতটা সংক্রমক হবে? তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে এই ভাইরাস যে ভবিষ্যতে প্রাণীকুলের উপর মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করতে চলেছে তা সহজেই অনুমান করতে পারছেন তাঁরা।