বন্ধ ঘরে একটি ড্রামে রাখা এক মহিলার মৃতদেহ ৷ সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করা ড্রামের ৷ সেই সিমেন্ট কাটতেই উদ্ধার হয় দেহটি ৷ মঙ্গলবার বাগুইআটিতে ঘটনাটি ঘটে৷ তদন্ত করছে বিধাননগর পুলিশ ৷ ঘরের বাথরুমে একটি ড্রামের মধ্যে মৃতদেহটি রাখা ছিল ৷ দুর্গন্ধ আটকাতে ড্রামের উপরের অংশ সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ছিল ৷ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের জগৎপুর বাজার এলাকায় ৷ স্থানীয় বাসিন্দা রীতা মণ্ডল জানান, যে বাড়িতে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটির মালিক গোপাল মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি এলাকায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ৷ যে বাড়ি থেকে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই বাড়িটি তিনি ভাড়ায় দিতেন ৷ ওই বাড়ির তিনতলার একটা ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷বাড়ির মালিক গোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ঘরটি একজন মহিলাকে তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন ৷ বছর দুয়েক ঘরটি বন্ধ ছিল ৷ পরিষ্কার করার জন্য আজই তিনি ঘর খোলেন ৷ ঘর খুলতেই পচা গন্ধ পান তিনি ৷ পরে দেখেন বাথরুমে একটি নীল রংয়ের ড্রাম রয়েছে ৷ সেই ড্রামটি সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ৷তাঁর দাবি, ওই ড্রাম দেখেই তাঁর সন্দেহ হয় ৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাগুইআটি থানায় খবর দেন ৷ পুলিশ গিয়ে সিমেন্ট কেটে দেখে যে ড্রামের ভিতরে একটি মৃতদেহ রয়েছে ৷ সিমেন্ট থাকার কারণে দেহটি একেবারে শক্ত হয়ে গিয়েছে ৷ বন্ধ ঘরে ড্রামের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার খবর পেতেই বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান ৷ তবে এই বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে নারাজ পুলিশ ৷ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ঐশ্বর্য সাগর জানান যে তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ৷পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আপাতত ওই মহিলার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে যে ওই মহিলার মৃত্য়ু কীভাবে হয়েছে ৷ তাছাড়া মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ পরিচয় পেলে তদন্তে গতি আসবে ৷সাধারণত ঘরভাড়া দেওয়ার সময় ভাড়াটের পরিচয়পত্র নেওয়াই নিয়ম ৷ বাড়ির মালিক গোপাল মুখোপাধ্যায় জানালেন, তিনি পরিচয়পত্র নিয়েছিলেন ৷ সব নথিই তাঁর কাছে আছে ৷ যিনি ভাড়া নিয়েছিলেন, কয়েকমাস আগে তিনি গোপালকে ফোনও করেন ৷ সেই মহিলার কী নাম, কোথায় থাকেন, তা তিনি তৎক্ষণাৎ মনে করতে পারেননি ৷ নথি দেখে পুলিশকে জানিয়ে দেবেন তিনি ৷এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷ কারণ, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ এই ঘরে ক’জন থাকতেন ? চাবি কার কার কাছে থাকত ? দু’বছর পর কেন ঘর খোলা হল ? পুলিশের ধারণা, শীঘ্রই এই ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হবে ৷