দেশ

Haryana IPS Officer Suicide : হরিয়ানার এডিজি-র অস্বাভাবিক মৃত্যু, পুলিশের দুই শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আইপিএসের স্ত্রী-র

দিনের পর দিন জাতপাত নিয়ে হয়রানি সহ্য করতে না-পেরে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হরিয়ানা পুলিশের এডিজি আইপিএস ওয়াই পুরন কুমার (52) ৷ এভাবে তাঁকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের দুই শীর্ষকর্তা ৷ এই অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্ত্রী আইএএস অমনীত পি কুমার ৷ তিনি হরিয়ানার ডিজিপি শত্রুজিৎ সিং কাপুর এবং রোহটাকের এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে মৃত্যুতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ হরিয়ানার ডিজিপি এবং রোহটাকের এসপি’র অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন হরিয়ানা সরকারের শীর্ষস্তরীয় আধিকারিক অমনীত ৷ তাঁর স্বামীর ব্যাগ থেকে একটি আট পৃষ্ঠার নোট পেয়েছেন তিনি ৷ সেই নোটের ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, স্বামীর উচ্চস্তরীয় আধিকারিকরা পুরন কুমারের উপর পদ্ধতিগতভাবে অত্য়াচার চালিয়ে গিয়েছেন ৷ বুধবার সন্ধ্যায় সেক্টর-2 চণ্ডীগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷ তাঁর স্বামীকে পদ্ধতিগতভাবে হেনস্তা করা এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ডিজিপি ও রোহটাকের এসপি’র বিরুদ্ধে বিএনএস-এর 108 নম্বর ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), তফশিলি জাতি-উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধকারী) আইনের আওতায় মামলা দায়েরর অনুরোধ জানিয়েছেন অমনীত ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের মন্তব্য জানা যায়নি ৷ অমনীত জানান, তিনি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনির নেতৃত্বে জাপানে সরকারের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ৷ কিন্তু মাঝপথে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত সেখান থেকে দেশে ফিরে আসেন ৷ আইএএস অমনীত আরও জানিয়েছেন, তিনি জাপান থেকে ফিরে তাঁর স্বামীর ল্যাপটপ ব্যাগের মধ্যে দ্বিতীয় একটি নোট খুঁজে পান ৷ সেটি পুরন কুমারের হাতে লেখা ৷ সেই নোটে স্বামী উল্লেখ করেছেন, কীভাবে তাঁকে সবসময় জনসমক্ষে অপমান করা হয়েছে ৷ তিনি তফশিলি জাতি-উপজাতির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাঁর জাত তুলেও হয়রান করা হত ৷ স্ত্রীর আরও অভিযোগ, ডিজিপি শত্রুজিৎ সিং কাপুরের নির্দেশে রোহটাকের এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়া, এডিজিপি পুরন কুমারের নামে আরবান এস্টেট থানায় মিথ্যা এফআইআর দায়ের করেন ৷ এই অভিযোগ নিয়ে তাঁর স্বামী মানসিক চাপে ছিলেন ৷ এর মধ্যেও এডিজিপি পুরন কুমার হরিয়ানা পুলিশের দুই শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু তা হয়নি এবং এই সবকিছু নিয়ে নিরাশায় ডুবে গিয়েছিলেন পুরন কুমার ৷ তিনি নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নেন ৷ ওয়াই পুরন কুমার (52) 2001 সালের আইপিএস ব্যাচের আধিকারিক ৷ মঙ্গলবার 7 অক্টোবর তাঁর চণ্ডীগড়ের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয় ৷ তাঁর মাথায় গুলির ক্ষত ছিল ৷ তিনি তাঁর রিভলবার থেকে নিজের মাথায় গুলি করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷