ভোররাতের ভয়ঙ্কর বৃষ্টির পর দিনভর চলে টানা দুর্যোগ । কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি ডুবে যায় বৃষ্টির জলে । জলমগ্ন রাস্তায় বেরিয়ে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা । মঙ্গলবার দিনভর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসে প্রাণ হারান অন্তত আটজন । গ্রামীণ বাংলায় আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর এসেছে । সবমিলিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা 10 । বুধবার ভবানীপুরে একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, “যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । প্রয়োজনে পরিবারের কারওকে হোম গার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে । পাশাপাশি আমি সিইএসসি-কে বলেছি প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিতে । মৃত্যুর বিকল্প কোনও ক্ষতিপূরণ হতে পারে না, তবে অন্তত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের দায়িত্ব ।” মঙ্গলবার জল জমে থাকা শহরের রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যে আটজনের মৃত্যু হয় তাঁদের মধ্যে ছিলেন মোমিনপুরের বাসিন্দা এক যুবক এবং বেহালার শুভ প্রামাণিক । বুধবার সকালে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলিকে ।


