দীর্ঘ চার দশকের প্রতীক্ষার অবসান ! ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় শুভাংশু, তাকিয়ে গোটা দেশ। রাকেশ শর্মার পর মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন আরও এক ভারতীয় ৷ আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শুভাংশুদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘ড্রাগন’! সব ঠিক থাকলে ভারতীয় সময় দুপুর 12টা 1 মিনিটে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে শুভাংশু ও তাঁর 3 সঙ্গীর মহাকাশযান । আবহাওয়া 90 শতাংশ অনুকূলে রয়েছে ৷ বুধবার স্পেস এক্স-এর তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাক্সিয়ম মিশন-4 অভিযান একাধিকবার বাতিলের পর অবশেষে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চলেছে ৷ স্পেস এক্স-এর তরফে এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে বলা হয়েছে, “বুধবার অ্য়াক্সিয়ম মিশন-4 উৎক্ষেপণের জন্য সবকিছুই ঠিকঠাক রয়েছে ৷ আবহাওয়াও 90 শতাংশ অনুকূলে রয়েছে ৷” আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বিবৃতিতে জানিয়েছে, চতুর্থ বেসরকারি নভশ্চর মিশন অ্য়াক্সিয়ম-4 ভারতীয় সময় 25 জুন অর্থাৎ বুধবার দুপুর 12টা 1 মিনিট নাগাদ শুভাংশুদের নিয়ে উড়ান দেবে স্পেস এক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের 39-এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে ‘ফ্যালকন -9’ রকেটের সাহায্যে ড্রাগনকে মহাকাশে পাঠানো হবে । ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স 39A থেকে উৎক্ষেপণ হবে অ্যাক্সিয়ম মিশন-4-এর ৷ এর আগে একাধিকবার এই মিশন বাতিল হয়েছে ৷ কখনও স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন-9 রকেটে যান্ত্রিক ত্রুটি, কখনও প্রতিকূল আবহাওয়া, আবার কখনও সার্ভিস মডিউউলের গোলোযোগের ফলে এই মিশন হয়ে ওঠেনি ৷ তবে, আর কোনও বাধা নেই ৷ বুধবার ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন শুভাংশু শুক্লা ৷ ঐতিহাসিক এই অভিযানের অপেক্ষা 140 কোটি ভারতবাসী ৷ কারণ, রাকেশ শর্মার পর প্রায় চার দশক পর মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন কোনও ভারতীয় ৷ উল্লেখ্য, নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসন অ্যাক্সিয়ম স্পেস-এর ডিরেক্টর ৷ তিনি এই বাণিজ্যিক মিশনটি পরিচালনা করছেন ৷ ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা এই মিশনে পাইলটের ভূমিকায় রয়েছেন ৷ পোলান্ড ও হাঙ্গেরির দুই মহাকাশচারী এই মিশনের দুই বিশেষজ্ঞ ৷ 14 দিনের এই মিশন ভারত, পোলান্ড ও হাঙ্গেরির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ৷ এর ফলে তিনটি দেশ মহাকাশে মানুষ পাঠানো এবং সেখান থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে পারবে ৷ প্রথমে 29 মে এই মিশন হওয়ার কথা ছিল ৷ পরে ওই তারিখ বাতিল হয়ে 8 জুন, 10 জুন এবং 11 জুন হয় ৷ এরপর 19 জুন ও 22 জুন স্থির হলেও বিভিন্ন কারণে শেষমেশ মিশনটি বাতিল হয়ে যায় ৷


