কলকাতা

টালিগঞ্জে প্রৌঢ়ার হাত-পা বেঁধে, মুখের মধ্যে কাপড় গুঁজে অচৈতন্য করে লুটপাট

ফের ভয়াবহ ডাকাতি শহর কলকাতায় । অভিযোগ, প্রৌঢ়ার হাত-পা বেঁধে, মুখের মধ্যে কাপড় গুঁজে অচৈতন্য করে লুটপাট করা হয় ৷ টালিগঞ্জের দাসানি স্টুডিয়োর পাশে 45সি-12 মুর অ্যাভিনিউয়ের ঘটনা ৷ টালিগঞ্জ থানার পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চারু মার্কেট থানার পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ড্যাকয়টি সেকশনের গোয়েন্দারা। অভিযোগ, সোমবার রাতে সোনালি বিশ্বাস নামে ওই মধ্যবয়স্ক মহিলা যখন নিজের ফ্ল্যাটে ওঠেন, তখন দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে দু’জন ব্যক্তি পিছন থেকে এসে তাঁর দুই হাত চেপে ধরেন ৷ তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার ফলে তিনি নীচে পড়ে যান ৷ মাথায় চোট লাগে প্রৌঢ়ার ৷ অভিযোগ, তিনি প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করতে শুরু করেলই দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে দেবে বলে হুমকি দেয় । এরপরেই সোনালি বিশ্বাস অচৈতন্য হয়ে পড়েন ৷ তাঁকে দুষ্কৃতীরা ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে হাত, মুখ বেঁধে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় । পরবর্তীতে সোনালির স্বামী পিকলু বিশ্বাস বাড়িতে আসেন ৷ তিনি দেখেন তাঁর স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন । হাত, পা দড়ি দিয়ে বাঁধা, মুখে কাপড় গুঁজে রাখা ৷ ঘর অগোছালো ও জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন তিনি । পাশাপাশি, টালিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সামনেই সোনালির ছেলের বিয়ে । ফলে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ প্রায় 2 লক্ষ টাকা বাড়িতে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী । সেই টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে । ইতিমধ্যেই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে ৷ দেখা গিয়েছে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা । কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজ অত্যন্ত অস্পষ্ট ৷ তদন্ত চলছে ৷ এদিকে, স্থানীয় থানার পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, “ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বিভাগ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে । আমরা প্রত্যেককেই ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি ।”