দেশ

লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথি নিয়ে কানাডায় পাড়ি, প্রায় ৭০০ পড়ুয়াকে দেশে ফেরাবে কেন্দ্র

পঞ্জাবের জলন্ধরে এক ট্র্যাভেল এজেন্ট কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়াদের বিদেশে পড়তে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে ৷ তার পাল্লায় পড়ে পঞ্জাবের কয়েকশো পড়ুয়া ভুয়ো নথি নিয়ে কানাডায় গিয়েছিল ৷ জালিয়াতি ধরা পড়তেই কানাডা পড়ুয়াদের হাতে দেশ ফেরার নোটিশ ধরিয়েছে। এদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে চলেছে মোদি সরকার ৷ কানাডার অন্টারিওতে টরেন্টো কলেজ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে চিঠি দিল কেন্দ্র ৷ জলন্ধরের এক ট্র্যাভেল এজেন্ট প্রতি পড়ুয়া পিছু ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ভুয়ো নথি এবং সার্টিফিকেট তৈরি করে ৷ তারপর পড়ুয়াদের কানাডায় নিয়ে যায় ৷ কিন্তু সেখানে সার্টিফিকেটগুলি যে ভুয়ো তা ধরা পড়ে যায় ৷ তাই সেখান থেকে এবার ভারতে আসতে হবে পড়ুয়াদের ৷ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার ওই ট্র্যাভেল এজেন্টের অফিসের হদিশ পায় জলন্ধরের পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গত ৬ মাস ধরে ওই অফিসটি বন্ধ ৷ মনে করা হচ্ছে এই জালিয়াতি করার পর ওই ট্রাভেল এজেন্ট ফেরার হয়ে গিয়েছে ৷ ডিসিপি ভতসালা গুপ্তা জানান জলন্ধরের গ্রিন পার্কে এক ট্র্যাভেল এজেন্ট এ ধরনের কাজকারবার করত ৷ সে পড়ুয়াদের কানাডায় পাঠিয়েছে ৷ কিন্তু তাদের এবার দেশে ফিরতে হবে ৷ পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় ৭০০৷ ডিসিপি জানান তাঁর কাছে এখনও পর্যন্ত ট্রাভেল এজেন্টকে নিয়ে বা এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ কিন্তু তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত করছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন ওই ঠকবাজ ট্রাভেল এজেন্টের অফিস গত ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ৷ পড়ুয়াদের কোনও নথিভুক্ত অভিবাসন এজেন্টের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করা উচিত ছিল ৷ এ ধরনের ভুয়ো এজেন্টরা মানুষকে ঠকিয়ে টাকা লুঠ করে বিদেশে পালিয়ে যায় ৷ তাই এরকম এজেন্টদের সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত ৷ডিসিপি আরও জানান জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশকে জানানো উচিত যাতে পুলিশ সেই ঘটনায় পদক্ষেপ করতে পারে ৷ কানাডা থেকে ৭০০ জন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের ব্যাপারে কোনও সরকারি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি ৷ জানা গিয়েছে ২০১৮-১৯ সালে পড়াশোনা করার ভিসা নিয়ে পড়ুয়ারা কানাডায় গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তাঁদের নথি যে ভুয়ো তা সম্প্রতি সামনে আসে ৷ উত্তর আমেরিকার দেশে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স এর আবেদন করতে গিয়ে মিথ্যে তথ্য ধরা পড়ে যায় ৷ কানাডার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অ্যাডমিশন অফার লেটারস এর আবেদন খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে পড়ুয়াদের দেওয়া তথ্য ভুয়ো ৷ কানাডার বর্ডার সিকিউরিটি এজেন্সি ওই পড়ুয়াদের ভারতে ফিরে যাওয়ার Deportation letter দেয় ৷ ২০২২ সালের এপ্রিলমে মাস নাগাদ পড়ুয়ারা এই নোটিশ পায় ৷ বহু পড়ুয়া এর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হয় ৷ কিন্তু তাঁরা হেরে গিয়েছেন ৷ তাই এবার তাঁদের ভারতে ফিরে আসতে হবে ৷