অফবিট ভাইরাল

‘কাচের গ্লাসে এক চিমটে হলুদ’, ট্রেন্ডে মজেছেন নেটিজেনরা, ফাঁদ পাতা হতে পারে, সতর্ক করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা

প্রথমে কাচের গ্লাসে ভরতে হবে পরিষ্কার জল। সেই গ্লাস রাখতে হবে স্মার্ট ফোনের টর্চের উপর। এরপর ঘরের আলো নিভিয়ে এক চিমটে গুঁড়ো হলুদ জল ভর্তি গ্লাসে ফেললেই-‘ইয়েলো ম্যাজিক’। গোটা প্রক্রিয়াটির ভিডিও বা রিলস বানানো হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে এটি এখন ‘ট্রেন্ড’। সাইবার সিকিওরিটি বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, ‘স্রোতের জলে গা ভেজানো ভালো। তবে স্রোত ভাসিয়ে নিলেই বিপত্তি। হ্যাকাররা লিঙ্ক পাঠিয়ে ট্রেন্ডিং ভিডিও দেখতে বলতে পারে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই কিন্তু ঢুকে পড়বে ‘ম্যালওয়্যার’। তাই ভিডিও তৈরি করুন, দেখুন যত ইচ্ছা। কিন্তু ভুলেও কোনও লিঙ্কে ক্লিক নয়।’ টর্চের আলোয় তরলে দ্রবীভূত হচ্ছে হলুদচূর্ণ। তা দেখতে লাগছে চমকপ্রদ। চোখ রাখতে বেশ ভালোই লাগছে নেটিজেনদের। শুধু হলুদ নয় ঝকমকে লাইট এফেক্ট দেখে বাড়ির খুদেরা উত্তেজিত। সেই ভিডিওগুলি এখন ‘ভাইরাল’। পড়ছে হাজার হাজার লাইক। আচমকা কোথাও কিছু নেই হঠাৎ হলুদ কেন ট্রেন্ড হয়ে উঠল? কীভাবে হল? এর উত্তর নেটিজেনদের কাছে নেই। তবে দেখার পর অনেকের লকডাউনের সময়কালের ‘ডালগোনা কফি’র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেবার এই বিশেষ ধরনের কফি তৈরি করা ‘ট্রেন্ডিং’য়ের তালিকায় চলে এসেছিল। এরকম ‘ট্রেন্ডিং’য়ের নেপথ্যে কি হ্যাকারদের মস্তিষ্ক থাকে? সাইবার সিকিওরিটি বিশেষজ্ঞ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘কেউ ভিডিও তৈরি করে আপলোড করলে বা সকলকে পাঠালে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এই ফাঁকে কেউ যদি লিঙ্ক পোস্ট করে সেটা ক্লিক করতে বলে আর কৌতুহলবসত কেউ সেই লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন তাহলে সমস্যা হতে পারে। এই দিকটি অবশ্যই দেখা দরকার।’ কীভাবে আচমকা একটা বিষয় ট্রেন্ডে চলে আসে? উত্তর, ‘এর পিছনে সেরকম কোনও মেকানিজম নেই। এই ইকোসিস্টেমে সবসময় কিছু না কিছু চলতে থাকে। কোনও একটা কখনও ক্লিক করে যায়।’