ফের ট্রেন দুর্ঘটনা। প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও পণ্যবাহী ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ৷ প্রথমে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয় ৷ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হয়েছে ৷ এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ৷ আহত বেশ কয়েকজন ৷ তাদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে ৷ মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের গাতোরা ও বিলাসপুরের মাঝে ৷ দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে বিলাসপুরগামী কোরবা মেমু ট্রেন ৷ উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আরও অনেক যাত্রী এখনও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কোচের তলায় আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার থেকে শুরু করে আহতদের চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ বিলাসপুরের কালেক্টর সঞ্জয় আগরওয়াল বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ উদ্ধার কাজও চলছে ৷” পাশাপাশি রেলের তরফে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ, গুরুতর জখম ব্যক্তিদের ৫ লক্ষ এবং সামান্য আহতদের ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এই ট্রেন দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা জানতে রেলওয়ে সেফটি কমিশনার স্তরের তদন্ত হবে ৷ এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই ৷ তিনি সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, “বিলাসপুর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত দুঃখের ৷ বিলাসপুর জেলার কালেক্টরের থেকে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি ৷ তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি উদ্ধারের নির্দেশও দিয়েছি ৷ রাজ্য সরকার এই কঠিন সময়ে প্রভাবিত পরিবারগুলির সঙ্গে রয়েছে ৷ রেল ও প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আহতদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত নিশ্চিত করবে প্রশাসন ৷ রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ তৎপরতার ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ৷” এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি লিখেছেন, “বিলাসপুর-হাওড়া রুটে এই মর্মান্তিক ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনায় একাধিক কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে ৷ অনেক মূল্যবান জীবন হারিয়েছে ৷ শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল ৷ আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি ৷”


